বকুল ফুল নিয়ে ক্যাপশন

বকুল ফুল নিয়ে ক্যাপশন পড়তে কার না ভালো লাগে? বকুল ফুল সকলের কাছে অধিক প্রিয় একটি ফুল। সকলের কাছে অধিক পরিচিত জনপ্রিয় ফুলগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি বকুল। আমাদের দেশের গ্রাম অঞ্চলের প্রত্যেক মানুষই বকুল ফুল সম্পর্কে অবগত আছে। ফুল গাছটি সচারাচর গ্রামে দেখা যায় বেশি। গ্রাম অঞ্চলের দিক দিয়ে বকুল ফুলের এই গাছ অধিক পরিমাণে জন্মগ্রহণ করে। এই গাছটি যে কোন জায়গায় হতে পারে। এটি ছোট ছোট আকৃতির মতো হয়ে থাকে।

বকুল ফুলের গাছ ফল ও ফুল সবকিছু মানুষের প্রয়োজনে কাজে লাগে। বকুল ফুলের গাছ ফল মূল কাণ্ড ও শাখা প্রশাখার উপকারিতার জন্য এটি সকলের কাছে পরিচিত না হলেও এটি ফুল হিসেবে সকলের কাছে ব্যাপক পরিচিত। বকুল ফুল পছন্দ করে না এমন মানুষ হয়তো খুব কম রয়েছে। অন্যান্য ফুলের মত এটিও প্রকৃতির সৌন্দর্য বর্ধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

প্রত্যেকটা মানুষই প্রায় ফুলকে ভালোবাসে। ফুলকে ভালোবাসে না এমন মানুষ অনেক কমই পাওয়া যাবে। ভালোবাসার ফুল গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রিয় হচ্ছে এই বকুল ফুল।বকুল ফুলের আকৃতি খুবই ছোট কিন্তু একপ্রকার নকশার মত দেখা যায় এবং এটার গন্ধ অনেক ভালো। তাই মানুষের কাছে এত প্রিয় এই ফুলটি। তার পাতায় পাতায়ও এক বিনীত নিবেদন রয়েছে। রাতে ফুল ফোটে আর সারা রাত টুপটাপ ঝরে, ভোরে কিশোরী মালা গাঁথবে বলে। এর মালা সুন্দর এবং সুগন্ধি হয়। তাই মানুষ এই ফুলকে এত বেশি ভালোবাসে। 

বকুল ফুল কি?

বকুল ফুল একধরনের সুগন্ধি সাদা রং এর ফুল। ফুল গুলো খুব ছোট হয়। বড় জোড় ১ সেঃ মিঃ। ফুল গুলো দেখতে ছোট ছোট তারার মতো। বকুল ফুলের সুবাসে থাকে মিষ্টি গন্ধ। ফুল শুকিয়ে গেলেও এর সুবাস অনেক দিন পর্যন্ত থাকে। বকুল হচ্ছে মিনাসপ্স্‌ (Minasops) প্রজাতির একটি ফুল। বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Mimusops elengi এবং ইংরেজি নাম হচ্ছে Spanish Cherry, Medlar and Bullet Wood. এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর তীরবর্তী এলাকার ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, বার্মা, ইন্দো-চীন, থাইল্যান্ড, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ এলাকা জুড়ে এই গাছ দেখতে পাওয়া যায়।

বাংলাদেশের প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য হলো ফুল।  তবে এর সুগন্ধি সকল ফুল থেকে একে দিয়েছে বিশষ মর্যাদা। এর আকৃতি,রং এবং সুবাসের জন্য বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বকুল ফুলের গন্ধে মানুষ বিমোহিত হয়ে যায়। বকুল ফুলের গাছকে বলা যেতে পারে একটি মায়াবতী বৃক্ষ। 

বকুল ফুল নিয়ে ক্যাপশন

বকুল ফুল আমাদের সকলেরই পছন্দ। বকুল ফুলের গন্ধ আমাদের মোহিত করে অনেক বেশি। আমরা অনেকেই বকুল ফুল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট দিতে ক্যাপশন খুঁজি। নিচে বকুল ফুল নিয়ে ক্যাপশন গুলো তুলে ধরা হল-

  1. চলো আমরা আজ বকুল ফুলের মালা দিয়ে দুজনে খেলব প্রেমের খেলা।
  2. তুমি আমার বকুল ফুল, পাশে থেকো সারাজীবন আর ভালোবাসার সুগন্ধি ছড়িয়ে দিও।
  3. বকুল ফুলের গন্ধে যেন আজ আমি দিশেহারা, তোমাকে কাছে পেতে মন চায়।
  4. সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে যখন বকুল ফুলের সুগন্ধি আমার নাকে চলে যায়, তখন কি যে ভালো লাগে।
  5. বকুল ফুল যেমন সকাল দুপুর সুগন্ধি দিয়ে, আমিও তোমায় সারা জীবন ভালোবাসা দিয়ে যাব।
  6. বকুল ফুল হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি তোমার জন্য কারন তুমি বকুলের মত সুন্দর ও সুগন্ধি।
  7. তোমার ওই চুলের খোপায় আমি দিয়েছিলাম যেদিন বকুল ফুল, সেদিন থেকেই তুমি আমার হয়েগেছো প্রিয়।
  8. তুমি আমার স্বপ্নের রানী, আমার মনের মত। ভালোবাসার সুগন্ধি দিও বকুল ফুলের মত।
  9. আমি তোমাকে প্রতিদিন একটি করে বকুল ফুল দিবো কারন আমাদের ভালোবাসা বকুলের মত।
  10. ফুল মানুষকে আনন্দ দেয় বকুল দেয় সবাইকে সুগন্ধি।
  11. বকুল ফুলের ওই মিষ্টি গন্ধে আমি মাতোয়ারা, লাগে না ভালো আজ তুমি ছাড়া।
  12. বকুল ফুলের মিষ্টি গন্ধে আমি উদাসিন , চলে এসো প্রিয়।
  13.  আমি তোমাকে বকুল ফুলের মালা বানিয়ে রাখবো দেব নাকো যেতে কোথায় তোমায়।
  14. আমরা যদি ফুলের মত সবাইকে ভালোবাসতে পারতাম এই পৃথিবীটা কত সুন্দর হয়ে যেত। বকুলের মত সুগন্ধি ছড়িয়ে যেত চারদিকে।
  15.  তুমি আজ পাশে থাকতে বকুল ফুলের মালা পরিয়ে দিতাম তোমার গলায়।
  16. মনের দুর্গন্ধ দূর করতে বকুলের কাছে যাওয়া উচিত।
  17. আমি সকালে উঠে যখন দেখি বকুল ফুল তখনি তোমার কথা মনে পড়ে।
  18. আমি হতে চাই তোমার বকুল ফুল সকাল-সন্ধ্যা তোমায় ভালোবাসা দিব।
  19. বকুল ফুলের মালা গেঁথে বসে আছি, তুমি আসবে বলে।
  20. কাছে এসে বসো আমার পাশে, বকুলের মালা দেবো তোমায় ভালোবেসে।
  21. পাশে এসে বসো প্রিয়, তোমাকে দিব একরাশ বকুল ফুুল।
  22. বকুল ফুল তুমি আমাকে তোমার সাথে রাখতে পারনা? সকাল সন্ধ্যা তুমার সুগন্ধি নেব।
  23. আমি বকুল ফুল হয়ে তোমার পাশে থাকতে চাই যখন চাইবে তখন তোমাকে ভালোবাসার সুবাস দিতে চাই।
  24. তোমার খোপায় পড়িয়ে দেব বকুল ফুলের মালা, ভুলিয়ে দিবো তোমার সকল দুঃখ জ্বালা।
  25.  গাছে ফুটেছে বকুল ফুলের দল তাদের সাথে তাল মিলিয়ে নাচবো আজি চল।
  26. আমি বকুল ফুলের সুগন্ধি পেয়েছি কোন দুর্গন্ধ আমাকে স্পর্শ করতে পারবে না।
  27. সাধারন হয়েও যে অসাধারন কাজ করা যায় তা বকুল ফুলকে দেখলেই বুঝা য়া।
  28. বকুল ফুলের মত ত্যাগী হতে শিখ, পাওয়ার মাঝেই শুধু সুখ নয়।

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন-উত্তর সমূহ

বকুল ফুল নিয়ে ক্যাপশন এই বিষয়ে আপনার মনে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে? তবে চলুন জেনে নেই সেই সকল সমস্ত সকল প্রশ্ন ও উত্তর।

বকুল ফুলের কোন উপকারিতা আছে কি?

ফুলের সুগন্ধ ও সৌন্দর্যই মানুষকে বেশি আকর্ষন করে। বকুল ফুল, ফল, পাকা ফল, পাতা, গাছের ছাল, কাণ্ড, কাঠ সব কিছুই কাজে লাগে। বকুল ফুল, ফল, পাতা, কাণ্ড দিয়ে বিভিন্ন অসুখ নিরাময়ের নানারকম আয়ুর্বেদিক ব্যবহার রয়েছে।ফুলের রস হৃদযন্ত্রের অসুখে ব্যবহার করা হয়। শুকনা ফুলের গুঁড়া দিয়ে তৈরী ঔষধ “আহওয়া” নামক এক ধরনের কঠিন জ্বর, মাথা ব্যথা এবং ঘার, কাঁধ ও শরীরের বিভিন্ন অংশে সৃষ্ট ব্যাথার নিরাময়ে ব্যবহার হয়।

বকুল ফুল নিয়ে সেরা উক্তি কোনটি?

বকুল ফুল নিয়ে সেরা উক্তি ২ টি হল “তুমি কার লাগিয়া গাঁথোগো সখী বকুল ফুলের মালা” – মনির খান এবং ”ঝরকে ঝরকে ঝরিছে বকুল আঁচল আকাশে হতেছে আকুল” – রবীন্দ্রনাথ।

উপসংহার

বকুল ফুল সকলের কাছে অধিক প্রিয় একটি ফুল। এজন্যই এই বকুল ফুল নিয়ে ক্যাপশন সম্পর্কে অনেকেই অনলাইনে খুঁজে বেড়ায়। বাংলার প্রকৃতির অপরূপ সুন্দর করে তোলে এই বকুল ফুল। সবাই এই ফুলের মায়ায় পড়ে যায়। প্রত্যেক মানুষের কাছেই বকুল ফুল অনেক প্রিয়। এই ফুলের মালা ব্যাপক জনপ্রিয় আমাদের দেশে। কিছু কিছু জায়গায় মানুষ বকুল ফুলের মালা বানিয়ে মানুষের কাছে বিক্রি করে। এই ফুলের সুগন্ধিতে তো মানুষ পাগল হয়ে যায় এজন্যই এ ফুলের চাহিদা এত বেশি। ঘরের এক কোনায় যদি এই ফুল রেখে দেওয়া হয় তাহলে পুরো ঘর বকুল ফুলের সুগন্ধে ভরে যাবে। 

সৃষ্টিকর্তার অপরূপ সৃষ্টি হলো এই ফুল। ফুলকে আমরা সবাই ভালবাসি। যদিও ফুলের রানী বলা হয় গোলাপকে। কিন্তু সুগন্ধির কারনে বকুল সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এই ফুলের সুগন্ধে মানুষ বিমোহিত হয়ে যায়। ফুল গুলো অনেক ছোট ছোট কিন্তু এর আকৃতি অনেক সুন্দর এবং এর রং সাদা। ভেষজও গুনেও রয়েছে বকুল ফুলের অনেক সুনাম। এছাড়াও পদ্ম ফুল নিয়ে ক্যাপশন সম্পর্কে পড়তে পারেন।

“বকুল ফুল নিয়ে ক্যাপশন” এ বিষয়ে আপনার যদি কিছু জানার থাকে তবে আপনি এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও এই পোস্ট-টি তথ্যবহুল মনে হলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ! 

Leave a Comment